নীলাদ্রি দেব | রেওয়াজ | গুচ্ছকবিতা ৫
১.
দিগন্তের দিকে টানে বৃষ্টির পথ, মেঘ
শ্রাবণের সমান্তরালে যারা হাঁটতে শুরু করি
হাঁটি, কোথাও পৌঁছতে হবে না ভেবে
মুখ অস্পষ্ট বলে একক থেকে সমগ্র বোধ হয়
অনন্তের দিকে রাস্তা যতটা মসৃণ!
২.
ধুয়ে দেওয়া যায় এমত সূক্ষ্ম
স্রোতের কাছে রেখে উৎসের দিকে যাই
চিহ্ন কিছু পথের চারপাশে বিক্ষিপ্ত
খুঁজে নিতে চেষ্টা করি
চিহ্নমন্ত্র না জেনেও সাধনার সব
রেখে আসি ক্ষয়ে যাওয়া পাথরে
স্পর্শ জাগে নাভিপদ্ম, আত্মা নড়ে ওঠে
৩.
তীব্র আলোর বেগে নিজস্ব প্রতিবিম্বের স্থির
ওতে স্পষ্ট হয় মাছের সাঁতার
জলতলের এত আয়োজন
দৃষ্টি শরীর-ক্ষেত্রফল সেরে মৃদু হয়
ব্রহ্মাণ্ডের হা-এর ভেতর খেলা সব, বিভিন্ন প্রকারে
৪.
হরিৎক্ষেত্রের শেষতম বিন্দুর পর সমস্ত বিষাদ
গলে যাচ্ছে হঠাৎ প্রপাতের মতো
পরিমাপ দিচ্ছে মাত্র ছায়ার দীর্ঘ
দু-দান ও শর্ত পেরিয়ে আড়াল
যে গর্ভ থেকে নিজেকেই দেখি, হাসি
অনুভব করি এক পৃষ্ঠটান, অর্গানিক
অথচ দেহ খসে যেতে চায়
প্রকট হতে চায় অতর্কিত ঝাঁপ
৫.
সমস্ত প্রজন্মের ভিড় দক্ষিণে বয়ে যায়
ভূমিরূপ পূর্বপরিকল্পিত
এরপরও ক্যানভাসের সাদা শাদাতর হয়
আলো আনতে চেয়ে
আলোর অধিক রঞ্জক ছুঁড়ে দেয় কেউ
ভ্রমে কিংবা মায়ায় ভুলে থাকি ব্রহ্মগান,
আমাদের ঘর, ফেরার ঠিকানা
Comments
Post a Comment