সংবেদন চক্রবর্তী | গুচ্ছকবিতা ৬
অভাব
হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কেউ কষ্ট পেলে
মা-মাসিরা বলতেন যমে আর মানুষে লড়াই...
মারাত্মক প্রতিভাসম্পন্ন অভাব শব্দটি
আমার বাড়ির খোলা দরজা ধরে যাতায়াত করে।
জাতীয় পাখির মতো আমি তাকে ওড়াতে পারি না
বৃষ্টি হলে কেকা ধ্বনি আমাদের বিচলিত ঘরে!
লক্ষ্মী
ভাতের হাঁড়িতে জল ফুটে যাচ্ছে
চাল ধুতে ধুতে মা কখন যেন
ঈশ্বরের রূপ ধারণ করেছে!
আমি ছোট ছোট পায়ে কাঠের উনুনের পাশে যাই
তারপর থেকে লক্ষ্মীপূজো এলে
মাকেই আমার লক্ষ্মী মনে হয়।
যাঁরা কবিতা পড়ে না
যাঁরা কবিতা পড়ে না
তাঁদেরকে আমি ফুল দেবো
আমার গাছের ফুল,
যদি ঈশ্বরের চোখ খোলে!
পাঠক কবিতাময় হোক
ওঁরাই আমার ঈশ্বর,
জানি, গাছের বেদনা বাড়বে
তবু ভাগ করে নেব...
শিকড়
তুলনামূলকভাবে মানুষের থেকে
জীবজন্তু ও গাছের প্রেম
পরীক্ষায় পাস করে ক প্লাস নিয়েই।
দুটো একটি মেঘের দাঁতে কোনও শিকড় ছেঁড়ে না
সমস্ত শিকড় ছিঁড়ে যায় প্রভাবশালীদের দাঁতে!
Comments
Post a Comment