নিও লিবারাল খুদা | সৌরভ মজুমদার | মুক্তগদ্য ২
নিও লিবারাল গ্রে ম্যাটার বিপর্যাস পিছলে ইংরেজি সৌজন্যের তাসের ঘর ভেঙে উড়ে যাচ্ছে শাদা ওড়না। আরেকটু উপরে পৌঁছলে ঘুড়ি হয়ে যাবে, তার উপরে দুয়া। কাওয়ালি কসক্, কেতাবি কবচ নির্মোহে তার শান্ত চোখের লেন্স। গুনছে গুলাম গোলাপ। স্বেদসিক্ত ঠোঁটের ডানায় কুরবত কেনা চুমু। চামড়ার ভাঁজ ভেঙে জ্যাকুজি স্বাধীনতা। কোন্ মানুষকে লিখতে গিয়ে কাকে লিখে ফেলছি। চার লাইন পিছিয়ে খুঁজছি ছাতা। আধা ভেজার বাহানা নিয়ে এগারো এগারো সংকেতে। রুমাল সব গল্প বদলে দিতে পারে। ভূগোল খাতা থেকে কার্শিয়াং মিশছে মস্তিষ্কের মানচিত্রে। পাহাড়ে বৃষ্টির দিন মানে সে এক অন্য রকম ব্যাপার। অরণ্যের গন্ধ মাখা শরীরে খোলা চুল এলোমেলো। সূফী সফেদ শুচি সৃজন। হাতের ভেতর জাদুটোনার সফর। লেপ্টে যাওয়া রঙিন-অবয়ব আবসার। গড়তে থাকা গহিন-ভিসাল এ ছাড়খাড়। অশ্লীল সব বিন্যাস আলগোছে তোলা থাকে পাঁজরের গরমি। আটপৌরে ব্যাপিত বিশ্বাস ঢালো বুকে। এই শহর ভিরান ভ্রমে দুর্গম দুর্গ পথ। সরাসরি লড়াই থেকে সরে আসা। বেগমের পরাবাস্তব অনুচ্ছেদে মিশ্র অনুভূতি। সহজ করে লিখলে, সরে আসো সুদীর্ঘ পথ থেকে। কার্শিয়াং তোমার অপেক্ষায়। এখানে জারুলের বনে হেমন্ত সংলাপ। প্রজাপতি উদ্যানে রমন শিবির। গির্জার ঘন্টা টানা ঈশ্বরের পায়চারি। সময়ের স্হিরচিত্র। তোমার দিকে এগিয়ে দেওয়া ডিটক্স ওয়াটার। রায়তি ঝর্ণা। ছোট আপেল বাগান। জানি আয়ু সংক্রান্ত অভিযোজন ডিঙিয়ে নতুন কোনো নোঙর। নোটিশ পিরিয়ড সাহস। দু'পা তুলবে ভেবে ছয় পা পিছিয়ে সাতের ফাঁদে। জননকে লিখি জননী। জেনো জননকে জননী পড়লে প্রেমিক খুদা হয়ে ওঠে।
Comments
Post a Comment