প্রত্নঘরের পাথর ও ঈশ্বর | বিকাশ চন্দ | কবিতা ৪৫
মানুষ ও মরে যায় মাঠের ফসলের মতো ধাতব উচ্চারণে
কেউ ডেকে বলেছিল নীলকান্ত তুমি হে নীলকান্তমণি
অমরত্বের গানে বাঁধা মুশকিল আসান চিরঞ্জীব স্বরে
বেঁধেছে অজানা কুম্ভিপাকে মেধাবী আনন্দ ভাবনা।
জানাই হলোনা আগামী কার্নিভালের নীল উৎসবের নক্সা
বেপথু সংসারী লক্ষ্মী ঘরের উঠোনে খোঁজে মোহন স্বপ্ন
কোন আঘাটায় কাদের দুয়ারে নাচে নীল চন্দ্রকলা
বিষাদ সময়ে ধর্মের কুকুর দেখে পোড়া জীবনের ক্ষত।
নিষ্ক্রমণের পথে আবারও অযোগ উড়ানের অনিশ্চিত খেলা
মানবাত্মার চেনা পথ উৎকীর্ণ আলোয় ভাসে আত্মনির্বাসন
আরাত্রিক আলো ছায়ায় কে শোনায় বিদ্যার আখ্যান
শূন্য উঠোনে কীর্তনগান এক মরণে আরেক মরণ ছুঁয়ে।
ধর্মাধর্ম বোঝেন প্রত্নঘরের ইচ্ছাধীন ঈশ্বর ঈশ্বরী মায়া
রূদ্ধবাক পাখিদের গলায় আটকে চিরায়ত জাগরণী গান
একলা মানুষের যন্ত্রণা এখন জড়িয়ে সকল মানবাত্মায়
শোণিত সময় বোঝে নিষিদ্ধ সময়ের সফল প্রত্যাখ্যান।
Comments
Post a Comment